সর্বশেষ খবরআজকের বিশ্ব

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে নীতিগত সম্মতি

আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। তবে দুই দেশই জানিয়েছে, পূর্ণ সৈন্য প্রত্যাহার ও সংঘর্ষ বন্ধে বাস্তবায়নের জন্য তাদের আরও কিছু সময় প্রয়োজন।

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন থাইল্যান্ডের, কিন্তু কম্বোডিয়ার হামলায় উদ্বেগ

মালয়েশিয়ার এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া, তবে তারা উভয়েই জানিয়েছে যে, সৈন্য প্রত্যাহার ও সংঘর্ষ বন্ধে আরও সময় প্রয়োজন। বিশেষ করে থাইল্যান্ড বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ‘নীতিগতভাবে পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে এবং এটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখছে।

তবে বাস্তব পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারাদিনজুড়ে কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী থাইল্যান্ডের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে এবং থাইল্যান্ড সরকার এ বিষয়ে চরম উদ্বিগ্ন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মাটিতে যুদ্ধবিরতির উপযোগী পরিবেশ গড়ে ওঠা জরুরি। নাগরিকদের নিরাপত্তাই সরকারের প্রথম দায়িত্ব।’

আরো পড়ুন
ভারতে নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বাংলাভাষীরা

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত এর মন্তব্য এবং পদক্ষেপ

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত মালয়েশিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন, যা আঞ্চলিক শান্তির পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে তার সরকার এই শান্তি প্রক্রিয়াকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কোনো ঘোষণা আসেনি।

এই প্রেক্ষাপটে আসিয়ানের ভূমিকা বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। মালয়েশিয়ার নেতৃত্বে কূটনৈতিক স্তরে যে সংলাপ ও সমঝোতার পথ খোলা হয়েছে, তা অঞ্চলটিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে দীর্ঘদিনের সীমান্ত বিরোধ, ঐতিহাসিক ক্ষোভ এবং প্রতিদিনের সংঘর্ষের বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে, পরিস্থিতির উন্নতি একদিনে হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

সার্বিকভাবে, আসিয়ান নেতৃত্বাধীন শান্তি উদ্যোগে দুই পক্ষের নীতিগত সম্মতি আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য বাস্তব পর্যায়ে আস্থা ও পদক্ষেপ—এই দুটি দিকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

One thought on “থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতিতে নীতিগত সম্মতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *