আজকের বিশ্ব

মার্ক জাকারবার্গ

মার্ক জাকারবার্গ ১৯৮৪ সালের ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্সে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি প্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে অসাধারণ দক্ষতা দেখান। কিশোর বয়সে তিনি “ZuckNet” নামের একটি মেসেজিং প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন, যা তার বাবার ডেন্টাল অফিসে ব্যবহৃত হতো। জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং ২০০৪ সালে বন্ধুদের সঙ্গে মিলে “TheFacebook” চালু করেন, যা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। পরে এর নাম পরিবর্তন করে শুধু “Facebook” রাখা হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের ধরণ বদলে দেয়।

তার নেতৃত্বে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও অকুলাস ভিআর অধিগ্রহণ করে, যা কোম্পানির প্রসার ও প্রভাব বাড়ায়। ২০২১ সালে তিনি ফেসবুকের মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে “Meta Platforms Inc.” রাখেন, যার লক্ষ্য মেটাভার্স প্রযুক্তি উন্নয়ন করা। ব্যবসার পাশাপাশি জাকারবার্গ মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িত, বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অনুদান দিয়েছেন।

বর্তমানে মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও বিলিয়নিয়ার, যিনি সামাজিক যোগাযোগ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ডিজিটাল ভবিষ্যতের রূপকার হিসেবে পরিচিত।

মার্ক জাকারবার্গ কোন দেশের নাগরিক

মার্ক জাকারবার্গ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। জন্মসূত্রে তিনি একজন আমেরিকান এবং বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোতে বসবাস করছেন। জাকারবার্গ মূলত একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, প্রোগ্রামার ও মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেডের (পূর্বে ফেসবুক) সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার উদ্ভাবনী নেতৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পে শীর্ষে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ব্যবসা, প্রযুক্তি ও মানবকল্যাণমূলক উদ্যোগে তার অবদান যুক্তরাষ্ট্রের গৌরব বৃদ্ধি করেছে।

মার্ক জাকারবার্গ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন

মার্ক জাকারবার্গ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি ২০০২ সালে হার্ভার্ডে ভর্তি হন এবং কম্পিউটার সায়েন্স ও মনোবিজ্ঞানে পড়াশোনা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সময়ই তিনি ফেসবুকের ধারণা তৈরি করেন এবং ২০০৪ সালে তার ডরমিটরিতেই ফেসবুক চালু করেন। প্রকল্পটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেলে তিনি পড়াশোনা অসম্পূর্ণ রেখে ব্যবসায় মনোযোগ দেন। যদিও তিনি ডিগ্রি শেষ করেননি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ই তার উদ্যোক্তা জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। ২০১৭ সালে হার্ভার্ড তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে, যা তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অবদানকে স্বীকৃতি দেয়।

মার্ক জাকারবার্গ কত টাকার মালিক

মার্ক জাকারবার্গ বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম ধনী ব্যক্তি, যার নেট সম্পদ প্রায় USD ২৭৪ বিলিয়ন (Bloomberg অনুযায়ী) Bloomberg.com। সাম্প্রতিক সময় Meta Platforms—যার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও CEO —র দ্বিতীয়-তৃতীয় প্রান্তিকের মুনাফার কারণে তার সম্পদ USD ২৭1 বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা এক দিনে USD ২৬.৮ বিলিয়নের বিশাল উত্থান নির্দেশ করে Business Insider। Meta’র শেয়ারের বর্তমান দাম USD ৭৮২.১৩; যেটি জাকারবার্গের মোট সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে । তাঁর এই বিশাল সম্পদ তাকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের অন্যতমে পরিণত করেছে।

মার্ক জাকারবার্গ কোন ধর্মের

মার্ক জাকারবার্গ জন্মসূত্রে ইহুদি (Jewish) ধর্মের পরিবারের সন্তান। তিনি ১৯৮৪ সালের ১৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন্সে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে ইহুদি ধর্মীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতির মধ্যে বড় হলেও কৈশোরে তিনি ধর্ম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং নিজেকে নাস্তিক বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে পরবর্তীতে, বিশেষ করে পরিবার গঠন ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের সময়, তিনি পুনরায় ধর্মের মূল্যবোধ ও নৈতিক দিকগুলোর গুরুত্ব স্বীকার করেন। জাকারবার্গ প্রায়ই উৎসব ও দাতব্য কর্মকাণ্ডে অংশ নেন এবং ধর্মীয় সহনশীলতা ও মানবতার পক্ষে কথা বলেন। তার জীবনদর্শন মানবিকতা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বকে সংযুক্ত করার ওপর ভিত্তি করে।

মার্ক জাকারবার্গের বহিঃসংযোগ

মার্ক জাকারবার্গের বহিঃসংযোগ বলতে তার অনলাইন প্রোফাইল, সরকারি ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যমের উপস্থিতি বোঝানো হয়। তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হওয়ায় তার সঙ্গে সম্পর্কিত বহিঃসংযোগগুলো মূলত ফেসবুক (বর্তমান মেটা), তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এবং বিভিন্ন জনহিতকর কার্যক্রমের ওয়েবসাইটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

প্রধান বহিঃসংযোগসমূহ:

১ । ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/zuck

২। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল: https://www.instagram.com/zuck

৩ । ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল: https://www.instagram.com/zuck

৪ । মেটা ওয়েবসাইট: https://about.meta.com

৫ । চ্যান জাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ: https://chanzuckerberg.com

সম্মাননা

মার্ক জাকারবার্গ তার প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অবদানের জন্য বিশ্বজুড়ে বহু সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে “পারসন অব দ্য ইয়ার” ঘোষণা করে। তিনি ফোর্বস ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নিয়মিত স্থান পেয়েছেন এবং তরুণতম বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে অন্যতম। ২০১৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে। প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা মনোভাব এবং দাতব্য কার্যক্রমে অবদানের জন্য তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছেন, যা তাকে আধুনিক প্রযুক্তি জগতের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আরও জানুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি (NCP)

ম্যানেজ মাস্টার নাটক পাট ১ আরটিভিতে প্রচার তারিখ প্রচার সময়সূচী এবং অভিনেতাসহ বিস্তারিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *