বায়ুদূষণের প্রভাবে দিল্লিতে বিখ্যাত কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াতে চান না মা–বাবা
বায়ুদূষণের প্রভাবে দিল্লিতে বিখ্যাত কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও পড়াতে চান না মা–বাবা। একজন শিক্ষার্থী, তার বাসা ছিল ভারতের চন্ডিগড়ে, সে একটি দেশের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেতে পুরো বছর কঠিন পরিশ্রম করে গেছেন। কিন্তু তিনি তিনটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ পরীক্ষায় পাস করতে ব্যর্থ হয়েছেন এই কারণে তিনি অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় তিনি আশার আলো দেখতে পান, সেই আশার আলোটি হল একটি খবর – তারপর তিনি সফলভাবে পাস করেন ভারতের আলাদা একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা সিইউইটি-থেকে।
পরিক্ষায় ভালোভাবে পাস করার পরও তার কাছে বেশিক্ষণ খুশির খবর হয়ে থাকেনি সিইউইটি থেকে পাস করার খবরটি। তিনি তার এই আশাভঙ্গ অথবা সপ্নভঙ্গের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার সাথে শেয়ার করেন সেই ভারতের চন্ডীগর এর এই শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থী আরো বলেন সে সুযোগ পেয়েছেন দিল্লির বিখ্যাত কলেজ হংসরাজে। সেই কলেজটি ছিলো অনেক জনপ্রিয় ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নিয়ন্ত্রণে ছিল।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই কলেজটি দিল্লিতে হওয়ার কারনে সেই ভারতের চন্ডীগর এর শিক্ষার্থীর বাবা-মা সেখানে পড়াতে চায় না। কারন তারা তাদের সন্তানকে জেনে বুঝে একটি বায়ুদূষণ শহরে পাঠাতে পারবে না ।
সেই শিক্ষার্থী আরো একটি পোস্ট করেন রেডিটে, তিনি লিখেন, আমি চন্ডিগর থেকে বলতেছি। আমি সিইউইটি পরিক্ষা এই বছরে দিয়েছিলাম। তিনি বলেন আমি আগের তিনটি প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় পাস করতে পারি নাই এবং মনের দিক থেকে খুব কঠিন ১ বছর পর আমি পাস করারেছি এবং আমি শেষ পর্যন্ত এমন কিছু পেলাম যা আমার অনেক আশা ছিলো এবং আমি সেটি পেয়ে অনেক খুশি কারন আমার মনের আশাটি পূরন হয়েছিলো ইউনিভার্সিটির হংসরাজ কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে।
এই কলেজে সুযোগ পাওয়ার জন্য সেই শিক্ষার্থী অনেক কঠরভাবে পরিশ্রম করেছিনেল বলে জানায় সে।
শিক্ষার্থী টি আরো বলেছিলেন, সবকিছু ঠিকভাবে চলছিলো আমিও ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিতেছিলাম তখনি হঠাৎ আমার বাবা মা আমাকে দিল্লিতে পাঠাতে রাজি হয় না। তার একমাত্র মুল কারন হলো দিল্লির বায়ুদূষণ, আমার বাবা মা আমাকে এই বায়ুদূষণ শহরে পাঠাতে চায় না। আমার মতে তারা ঠিক কাজটি করতেছ, কারন তারা আমাকে যেনে বুঝো একটি বায়ুদূষণ শহরে পাঠাতে আগ্রহী না। সব বাবা – মা তাদের সন্তানদের সুস্থ এবং ভালো রাখার জন্য যে কেনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে।
তার এইরকম পরিস্থিতে তার মনে হয়েছিলো তার এত কষ্ট করে সাফল্যের কাছাকাছি এসেও তার জেন সপ্নটি ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
তার এই পরিস্থিতি তার কি করা উচিদ, সে বিষয়ে তিনি সোসাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সবার কাছে সঠিক পরামর্শ চেয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। তিনি লিখেন, এনম কেউ আমার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন যদি হয়ে থাকে সে এটির মোকাবেলা কিভাবে করেছিল যদি সে আমাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে তাহলে আমার পক্ষে সহজে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। কারন আমি জেই সুজগটি পেয়েছি আমি এই সুজগটি হাত ছারা করতে চাই না। দয়া করে আমাকে কেউ সঠিক পরামর্শ দিবেন।
এইরকম সেই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে অনেক কথা বলেন ও অনেক পরামর্শ দেয় সেই শিক্ষার্থী।
তার পোস্টটিতে অনেকে কমেন্ট করেছেন, তার বাবা মাকে যেন সে ভালোভাবে বুঝায়, এমন একটা সুযোগ যেন সে নষ্ট না করে। কারন এটি অনেক বোকামি হয়ে যাবে।
Pingback: কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শিক্ষার্থীকে কঠোর শাস্তি দিল,ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের দায়ে। - BD