এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি টুয়েন্টি সিরিজ জয় বাংলাদেশের
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি টুয়েন্টি সিরিজ জয় বাংলাদেশের।মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানের জয় পেয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে টাইগারা। ২য় টি টুয়েন্টিতে টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে চাপে পড়ে যায়। অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের নেতৃতে প্রথম দুটি টি – টুয়েন্টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। লিটনদের চোখে এখন টার্গেট পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করা।
টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পরে। শুরুটা ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশার। প্রথম টি টুয়েন্টিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে যে বিপর্যয়ে পরে ২য় টি টুয়েন্টিতে একই ভাবে বাংলাদেশ একইরকম বিপর্যয়ে পরে। টাইগাররা ১২০ টি ডেলিভারির মধ্যে ৬১ টি বল ডট খায়। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও দলের হাল ধরেন জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশ ১২০ বলে ১৩৪ রানের টার্গেট দেয়।
২য় টি টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং
টস হেরে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পরে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ (৩), লিটন দাস (৮), পাড়ভেজ হাসান ইমন (১৩), ও তৌহিদ হৃদয় (০) রান করে আউট হলে দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই বিপর্যয়ের মাঝে দলকে টেনে তুলেন জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান। জাকের আলী অনিক ও শেখ মেহেদী হাসান ৫৩ রানের জুটি গড়ে তুলেন। শেখ মেহেদী হাসান ২৫ বলে ৩৩ রান ও জাকের আলী অনিক ২৮ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে দলের অন্যরা ভালো রান করতে না পারলেও ২০ ওভারে ১৩৩ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
২য় টি টুয়েন্টিতে পাকিস্তানের বোলিং
২য় টি টুয়েন্টিতে পাকিস্তান শুরুতেই আগ্রাসী বোলিং করে বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে ফেলে দেয়। বাংলাদেশ দলীয় ২৮ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেন পাকিস্তানি বোলারদের কাছে। পাকিস্তানের হয়ে আগ্রাসী বোলিং করেন আব্বাস আফ্রিদি(২ উইকেট), আহমেদ দানিয়াল (২ উইকেট), এবং সালমান মির্জা (২ উইকেট) নেন।
২য় টি টুয়েন্টিতে পাকিস্তানি ব্যাটিং
২য় ইনিংসে মাত্র ১৩৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে চরম ভাবে মুখ থুবড়ে পরে পাকিস্তান ব্যাটাররা। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে মাঠের বাহিরে চলে যান যথাক্রমে সাইম আইয়ুব(১), মোহাম্মদ হারিস (০), ফখর জামান(৮), হাসান নওয়াজ(০), এবং অধিনায়ক সালমান আঘা(০), রান করে। দলীয় ৩০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এ সময় ৭ নম্বরে থাকা ফাহীম আশরাফ দলের হাল ধরেন। তিনি ৩২ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার সাথে কিছুটা সঙ্গ দেন আব্বাস আফ্রিদি (১৯) ও আহমেদ দানিয়াল (১৭) । কিন্তু বাংলাদেশি বোলারদের কাছে শেষ পর্যন্ত অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান ১৯ ওভার ২ বলে ১২৫ রানেই।
২য় টি টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের বোলিং
ম্যাচের ২য় ইনিংসে বল করতে নেমে বাংলাদেশী বলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেন। ইনিংসের শুরুতেই শরিফুল ইসলাম পাকিস্তানের দুটি মূল্যবান উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙ্গে দেন। বাংলাদেশি বোলাদের আগ্রাসী বোলিংয়ে দলীয় ৩০ রানেই ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। চাপে পরে যায় পাকিস্তানি ব্যাটাররা।বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম । ২ টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও শেখ মেহেদী হাসান। ১ টি করে উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন।
Pingback: দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব -১৯ দলের সঙ্গে বাংলার যুবাদের ত্রিদেশীয় সিরিজের সময়সূচী - BD