রাজনীতিসর্বশেষ খবর

হাসনাত, সারজিস, জারা সহ দলের পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে এনসিপি (NCP)

হাসনাত, সারজিস, জারা সহ দলের পাঁচজন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে এনসিপি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাখ্যা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান’-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যখন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল, ঠিক তখনই তারা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে যান।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তিগত এই সফরের বিষয়ে ‘রাজনৈতিক পর্ষদ’কে পূর্বে কোনো ধরনের তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে, তারা হলেন—তাসনিম জারা, খালেদ সাইফুল্লাহ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

এ প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অভিযুক্ত নেতাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, নেতাদের এই আচরণকে দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে সংগঠনের নীতিমালার আলোকে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

হাসনাত আবদুল্লাহ পরিচয়

হাসনাত আবদুল্লাহ একজন বাংলাদেশি ছাত্রনেতা, যিনি ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন–এর একজন প্রধান আহ্বায়ক। তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হিসেবেও দায়িত্বে আছেন।
হাসনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। হাসনাত কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার দেবিদ্বার সরকারি রেয়াজ উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি পারুয়ারা আবদুল মতিন খসরু কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগেই উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।
২০২৪ সালের ১২ অক্টোবর তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

সারজিস আলম

সরজিস আলম (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮) একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। তিনি স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন সংগঠনের একজন সমন্বয়কারী, যাঁরা জুলাই বিপ্লব-এর নেতৃত্ব দেন এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পেছনে ভূমিকা রাখেন।
২০২৫ সাল থেকে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর অঞ্চলের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরজিস আলম ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান সাজু এবং গৃহিণী বাকেরা বেগমের ছেলে। তাঁর পিতামহ তাজির উদ্দিন ছিলেন একজন কৃষক।
সরজিসের একমাত্র ভাই বর্তমানে ঢাকা কলেজে অনার্স ডিগ্রি অর্জনের পথে রয়েছেন।
২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি সরজিস বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

মুদ্রাস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামলে সুদহার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান

তাসনিম জারা

তাসনিম জারা একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, গবেষক, উদ্যোক্তা এবং রাজনৈতিক নেত্রী। ২০২১ সালে যুক্তরাজ্য সরকার তাকে ভ্যাকসিন লুমিনারি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং টিকা গ্রহণে জনগণের আস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার অসাধারণ ভূমিকার জন্য তিনি এই সম্মাননা অর্জন করেন।

বর্তমানে তাসনিম জারা জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বাংলাদেশের ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠেন। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) শিক্ষা সম্পন্ন করেন।

এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এভিডেন্স-বেইজড হেলথ কেয়ার বিষয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

তিনি একজন সমাজসচেতন ও প্রগতিশীল নেত্রী হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত।
চাইলে এর ছোট সংস্করণ বা সোশ্যাল মিডিয়া বায়ো ভার্সনও করে দিতে পারি।

তাসনিম জারা বাংলাদেশি প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও মানবাধিকারকর্মী খালেদ সাইফুল্লাহর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ। সাইফুল্লাহ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার আইন অধ্যয়ন করেছেন এবং বর্তমানে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-তে তাসনিম জারার পাশাপাশি নেতৃত্বস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই দম্পতি সমাজ পরিবর্তনে, বিশেষ করে মানবাধিকার, স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তিনির্ভর সচেতনতায় সম্মিলিতভাবে অবদান রেখে চলেছেন।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যার নাম ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। এ কমিটিতে মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক, আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব এবং সামান্তা শারমিনকে মুখপাত্র করা হয়েছে।
মোট ৫৫ সদস্যের এই কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী হলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা। তিনি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্র ফেডারেশনের প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাবেক শিক্ষার্থী ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এবি পার্টিতে যোগ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *