কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শিক্ষার্থীকে কঠোর শাস্তি দিল,ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের দায়ে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শিক্ষার্থীকে কঠোর শাস্তি দিল,ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভের দায়ে।বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়,ডিগ্রি বাতিলসহ নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় শিক্ষার্থীদের সংগঠন কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি অ্যাপারথিড ডাইভেস্ট (সিইউএডি)। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ইসরায়েলের সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক বাতিল করতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে যাচ্ছে এ সংগঠন। এক বিবৃতিতে সিইউএডি জানিয়েছে,প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে, যাদের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে,তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, যা সময়কাল নয় থেকে তিন বছর পর্যন্ত হতে পারে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বলেছে, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের মে মাসে বাটলার লাইব্রেরিতে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি ২০২৪ সালের বসন্তে ‘অ্যালামনাই উইকেন্ড’-এ তাঁবু স্থাপন করে ক্যাম্পাসে অবস্থান করার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো নীতিমালা লঙ্ঘন এবং এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
সিইউএডি মতে, ফিলিস্তিন বিষয়ক আন্দোলনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া শাস্তি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কঠোর। তারা বলেছেন, ‘আমাদের থামানো সম্ভব নয়, আমরা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রাম চালিয়ে যাব। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে ক্যাম্পাসে তাঁবু গড়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি চালান। এ বিক্ষোভের ফলে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অনেক দেশে প্রতিবাদ শুরু হয়। শত শত পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকতে পেরে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্দোলন এলাকাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় ও অনেক শিক্ষার্থীকে আটক করে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দমন-পীড়নের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে –
বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর দমন সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত পরীক্ষার সময়ে মে মাসে শিক্ষার্থীরা বাটলার লাইব্রেরি দখল করে প্রয়োজনীয় দাবি তুলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা। সঙ্গে সঙ্গে গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি তারা সমর্থন জানান।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিচারিক বোর্ড বলেছে,শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বিচারিক বোর্ড কর্তৃক বহিষ্কার, পড়াশোনা স্থগিত এবং ডিগ্রি বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বহিষ্কৃতদের সঠিক সংখ্যা জানানো হয়নি, কিন্তু কর্তৃপক্ষের দাবি এটি ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নেওয়া চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এই পরিস্থিতিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের সরকারি তহবিল ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনায় আছে। ট্রাম্প প্রশাসন উল্লেখ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইহুদি শিক্ষার্থীদের চলমান হয়রানির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় ওই অর্থসহায়তা বন্ধ করেছে।
Pingback: ইরান জানিয়েছেন, তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই পারমানবিক কর্মসুচি পরিত্যাগের - BD News Center